শাবনূর বাংলা সিনেমা শাসন করেছেন দীর্ঘদিন। এরপরে অপু বিশ্বাসও একটা সময় ছিলেন ঢালিউড নায়িকাদের একমাত্র কান্ডারি। দুজনই জয় করেছিলেন লাখো ভক্তের হৃদয়। কিন্তু আজ দুজনই যেন হারিয়ে যেতে বসেছেন। প্রিয় দুই মানুষের শত্রু এখন বলতে গেলে একটাই- ‘মুটিয়ে যাওয়া শরীর’।আসছি, আসছি করেও শাবনূর আর নতুন ছবিতে আসছেন না। নিয়মিত ডায়েট আর জিম করেও শরীরকে নিয়ন্ত্রনে আনতে পারছেন না। বরং আর মোটা হচ্ছেন তিনি। যে কারণে শাবনূর ভক্তদের আপাতত আর আশাববদি হওয়ার সুযোগ নেই। নায়িকা হয়ে ঢালিউডে আর শাবনূরের আগমন অনিশ্চিত।তবে পরিচালক হয়ে তার দেখা মিললেও মিলতে পারে। অনেক আগেই অবশ্য সিনেমা পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছিলেন শাবনূর। পরিচালক সমিতির সদস্যপদও নিয়েছেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত পরিচালনায়ও আসা হয়নি তার। তবে সাম্প্রতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা মেলে বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় এ নায়িকার।শাবনূর বলেন, ‘শরীরের সাথে খুব একটা পেরে উঠছি না। এত ডায়েট করার চেষ্টা করছি তাতেও কাজ হচ্ছে না। তবে আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা ছাড়ছি না। ইনশাল্লাহ আবার একদিন ঠিকই ফিরতে পারবো ঢালিউডে।’তিনি বলেন, ‘আর শেষপর্যন্ত অভিনয় করা না হলেও পরিচালনাও তো করবোই। সেজন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি নিজেই প্রযোজনাও করবো। দেখা যাক শেষপর্যন্ত কি হয়।’
এদিকে শাবনূরের মতোই অবস্থা অপু বিশ্বাসেরও। দিনের পর দিন চেষ্টা করেও নিজের মুটিয়ে যাওয়া শরীর নিয়ন্ত্রনে আনতে পারছেন না অপু বিশ্বাস। যে কারণে নতুন কোন সিনেমার অফারও পাচ্ছেন না তিনি। ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২‘ ও কলকাতার ‘শর্টকাট’ ছাড়া তার হাতে আর কোন কাজ নেই।বাধ্য হয়ে বিভিন্ন ষ্টেজ শো ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েই আলোচনায় থাকছেন তিনি। চাইছেন আবার নতুন করে সিনেমায় ফিরতে। তার জন্য ব্যাপক চেষ্টাও করে যাচ্ছেন তিনি।অপু বিশ্বাস বলেন, ‘অনেকের প্রশ্ন- ছবির কাজ কমিয়ে দিয়ে স্টেজ শো বা কোনো প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অপুকে কেন বেশি দেখা যায়। এর সরল জবাব অবশ্যই আছে আমার কাছে। ছবির কাজ শুরু করতে হলে মনের মতো গল্প আর চরিত্র পেতে হবে। আমাকেও অভিনেত্রীসুলভ গড়নে ফিরতে হবে।’তিনি বলেন, ‘সেই জার্নিটা তো চলছেই এখন। এরই মধ্যে ওপার বাংলার ‘শর্টকাট’ আর এপার বাংলায় ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু’ ছবিতে কাজ শুরু করেছি। তাছাড়া মানুষ যে আমাকে এত ভালোবাসে যদি বিপদে না পড়তাম তা হলে হয়তো বুঝতেই পারতাম না। মানুষের অবারিত ভালোবাসার টানে আমাকে ষ্টেজ শোতে ছুটে যেতে হয়। কাউকে না বলতে খারাপ লাগে।’