সাংবাদিক জামাল খাসোগির ঘটনায় তুরস্কের সাথে সাথে এবার সোচ্চার হয়েছে মিত্রদেশ আমেরিকাও।দুই দিকের চাপে এখন বেকায়দায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। খাসোগির গুমের পেছনে তাকেই মাস্টারমাইন্ড মনে করা হচ্ছে।নিখোঁজের পর এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও রহস্যের কোনো কূলকিনারা পাওয়া যায়নি। কেউ বলছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।আবার কেউ বলছে, জীবিত আছেন তিনি। তাকে অপহরণ করে রিয়াদে নেয়া হয়েছে।ফলে তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেট থেকে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির নিখোঁজের ঘটনা আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।
খাসোগির প্রকৃত অবস্থা জানাতে ক্রমেই চাপ বাড়ছে সৌদি কর্তৃপক্ষের ওপর।তুরস্ক বলছে, সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক খাসোগিকে সম্ভবত কনস্যুলেটের ভেতরেই হত্যা করা হয়েছে।সৌদি আরব থেকে ২ অক্টোবর তুরস্কে আসা ১৫ সদস্যের একটি দল তাকে হত্যা করে বলে সন্দেহ তুর্কি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর।সৌদি আরব অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, প্রবেশের অল্প সময় পরই কনস্যুলেট ভবন ছেড়ে গেছেন বছরখানেক ধরে আমেরিকায় স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা খাসোগি।কনস্যুলেটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তুর্কি পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ক্যামেরায় সৌদি এ সাংবাদিককে কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়নি।সৌদি কর্তৃপক্ষের এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান কনস্যুলেট থেকে খাসোগির বের হয়ে যাওয়ার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নিখোঁজ সাংবাদিক খাসোগিকে ঘিরে চলা রহস্যের শেষ দেখতে চায় আমেরিকা।কনস্যুলেটের ভেতর থেকে সাংবাদিক গায়েবকে ‘খুবই গুরুতর ঘটনা’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।সাংবাদিক খাসোগি নিখোঁজে সৌদি রাজপরিবারকে দায়ী ভাবছেন কিনা প্রশ্নের জবাবে বুধবার টেলিফোনে ফক্স নিউজকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সবকিছু জানতে চেয়েছি। কী ঘটছে তা দেখতে চাই আমরা।‘আমেরিকা ও হোয়াইট হাউসের জন্য এটা খুবই গুরুতর পরিস্থিতি, আমরা এর শেষ দেখতে চাই।’ট্রাম্পের পাশাপাশি কেনটাকি সিনেটর র্যা ন্ড পল বুধবার বলেছেন, খাসোগি জীবিত ফিরে না আসা পর্যন্ত সৌদিকে দেয়া সব সামরিক সহায়তা বন্ধ করা হবে।চলতি সপ্তাহেই সিনেটে এই মর্মে একটি প্রস্তাব তুলবেন তিনি।